জাকিগঞ্জ থেকে আহসান হাবীব :
জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দিঘীরপাড়- সাতঘরী কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশা। তিন কিলোমিটার এই সড়কে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টির হলে কাঁদা পানিতে চলাচলকারী মানুষকে জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নিয়মিত চরম ভোগান্তীতে পড়ছেন এলাকাবাসী। বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তার করুন অবস্থা দেখার যেনো কেউ নেই। রাস্তাটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো একটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে পাঁচ গ্রামে ১০ সহস্রাধিক মানুষের চলাচল। বিলপার, সাতঘরী, সখড়া, এলংজুরী ও হালঘাট গ্রামের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি কাঁচা। এই রাস্তা পাকা করার দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হালঘাটের দিঘিরপাড় হইতে সখড়া জামে-মসজিদের পাশদিয়ে সাতঘরী কাঁচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচন্ড এ কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে জুবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, থানাবাজার লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসা ও এলংজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। ওয়াব আলীর বাড়ির পাশে রাস্তা বেশি নিচু হওয়ায় কারণে নোংরা পানির মধ্য দিয়ে নিয়মিত মুসল্লিরা মসজিদে যেতে হয়।অসুস্থ্য রোগীকে হাসপাতালে সময় মতো নিতে না পারায় বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি আশায় বছরের পর বছর ভোগান্তীর স্বীকার এসব এলাকার জনসাধারণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন জানালেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে সখড়া ও ইলাবাজ রাস্তার ত্রিমোহনীতে একটি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কালভার্ট ও রাস্তাটি পাঁচ গ্রামের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাস্তাটি পাকা করণে স্থানীয় এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।স্থানীয় সখড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী, সখড়া জামে-মসজিদের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন, আব্দুল করিম বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় সময়মতো যেতে পারেনা। তাঁরা বলেন, কতো রাস্তাই তো ঠিক হয়, কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটা পাকা হচ্ছে না কেন, বলতে পারেন? স্থানীয় এলাকাবাসীর অসুবিধা বিবেচনা করে কাঁচা রাস্তাটি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য তারা কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।